আজকের বিষয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন : ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলেশন এবং থিম সেটাপের পর সর্বপ্রথম যেটা করতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ পেজসমূহ তৈরি করা । একটি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট এর গুরুত্বপূর্ণ পেজ সমূহ তৈরীর পর সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হচ্ছে কন্টেনিং প্ল্যানিং বা আর্টিকেল । এখন আপনি বলতে পারেন কন্টেন্ট মানে কি শুধু আর্টিকেল না কন্টেন্ট মানে আর্টিকেল নয় আপনার ওয়েবসাইটে যতপ্রকার আর্টিকেল, টেক্সট, অডিও, ভিডিও, ইমেজ ,ইনফোগ্রাফিক, স্লাইডার, টেবিল ইত্যাদি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ।
এখন আপনার সাইটের আর্টিকেল কয় ধরনের থাকবে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় | কোন ওয়েবসাইটের আর্টিকেল কে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায় ।
অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে আর্টিকেল এর প্রকার
Table of Contents
01: মানি আর্টিকেল
02: রিভিউ আর্টিকেল
03: ইনফরমেটিভ আর্টিকেল
অ্যাফিলিয়েট সাইটগুলোতে মানি আর্টিকেল এবং রিভিউ আর্টিকেল একসাথেই লেখা হয় এতে করে অডিয়েন্সের এঙ্গেজমেন্ট ভালো থাকে । অর্থাৎ আপনি যেই আর্টিকেল তাকে আপনার মানি আর্টিকেল বা বায়িং আর্টিকেল বলছেন সেখানে আপনার প্রোডাক্টের রিভিউ থাকবে ।
ইনফোরমেটিভ আর্টিকেল মানে হচ্ছে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে যত প্রকার প্রশ্নবোধক কি ওয়ার্ড রয়েছে সেগুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখা । এক্ষেত্রে অনেকেই কনফিউশনে পড়ে মানি আর্টিকেল এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেল অনুপাত কেমন হবে । আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে কি ইনফো আর্টিকেল যত পারেন সার্চ ভ্যালু ঠিক রেখে সাইটে পাবলিস্ট করুন । তবে অভিজ্ঞরা বলে থাকে আপনি যদি কোন সাইটে ৩ টি মানি আর্টিকেল পাবলিস্ট করেন তাহলে ৯ টি ইনফো আর্টিকেল পাবলিস্ট করুন ।
How to Write Amazon Affiliate Money Article:
বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মানি আর্টিকেলের ফরমেটিং বা স্ট্রাকচার উপর নির্ভর করে আপনার আর্টিকেলটি Rank করবে কিনা । আপনি একটি মানি আর্টিকেল কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিতে পারে যদি আপনি নিজে লিখেন আর যখন কোন রাইটার কে নিয়ে লেখাবেন তখন তাকে এ ফরম্যাট টা বুঝিয়ে দিবেন ।
01: আকর্ষণীয় কল টু অ্যাকশন সহকারে শুরু করা
02: একটি চমৎকার তথ্যবহুল টেবিল
03: প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত বায়িং গাইড
04: অন্তত 8 থেকে 10 টা প্রোডাক্টের রিভিউ + (pros &Cons)
05: সামারি & ভার্ডিক্ট (Summary or verdict)
01: আকর্ষণীয় কল টু অ্যাকশন
আপনার আর্টিকেল এর শুরুতেই 200 থেকে 250 ওয়ার্ডের একটি ভূমিকা দিন যেন আপনারই পাঠক পড়েই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার উৎসাহ জেগে ওঠে । সাধারণত ভূমিকা পরেই একজন ইউজার সিদ্ধান্ত নেয় পুরো আর্টিকেলটি সে পড়বে কিনা অথবা এই ওয়েবসাইটে থাকবে কিনা । অর্থাৎ ভূমিকার উপর নির্ভর করে আপনার সাইটের বাউন্স রেট । যদিও অভিজ্ঞদের মতামত হচ্ছে নিস সাইটের বাউন্স রেট তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় কিন্তু তারপরও এটা কম রাখাটা ভালো ।
02: চমৎকার তথ্যবহুল টেবিল
আপনি প্রোডাক্ট রিভিউ আগে অথবা পরে টেবিল দিতে পারেন কোন সমস্যা নেই । এটা ডিপেন্ড করছে আপনার কনটেন্ট ফরমেটিং উপরে । তবে আপনার উপর নির্ভর করে আপনি যে কোন জায়গায় এই টেবিল টা দিতে পারেন । মনে রাখবেন আপনার টেবিলটি যেন অবশ্যই খুবই তথ্যবহুল থাকে । টেবিল দেখেই যেন কোন ইউজার সেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়ে যায় অনেক সময় এই টেবিল থেকেও কোন ইউজার প্রোডাক্ট ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় ।
সুতরাং টেবিল ওইভাবে তৈরি করুন যাতে কনভার্শন রেট বৃদ্ধি পায় । প্রোডাক্ট টেবিল নিজে লেখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ এতে খুব ভালো মানের টেবিল তৈরি করা যাই ।
03: বায়িং গাইড (Buying Guide)
Buying Guide একটি জরুরী বিষয় তাই এটি রিসার্চ করে লেখা ভালো । তবে সবচাইতে ভালো হয় Buying Guide রাইটারের উপর ছেড়ে না দিয়ে আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন । অথবা রাইটারের কে দিয়ে লেখালে আপনি পরবর্তীতে সেটি রি-রাইট করে নেন ।
Pro Tips : এক্ষেত্রে আপনার কম্পিটিটর বায়িং গাইড এ কি ইনফরমেশন দিয়েছে সেটা লক্ষ্য করতে পারেন ।
বায়িং গাইড যত বেশি তথ্য বহুল থাকবে গুগোল আপনার সাইটকে ততবেশি অথরিটি দিবে । একবার যদি আপনার ওয়েবসাইট গুগলের কাছে অথরিটি পাওয়ার শুরু করে তাহলে আপনার আর কোন চিন্তা নেই । এক্ষেত্রে আপনি আপনার লাইটের কে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখতে পারেন সে কিভাবে এই অংশটি লিখবে কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আপনি আপনার কম্পিটিটরদের দেখে বায়িং গাইড তৈরি করার চেষ্টা করুন । এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট অনেক বেশি অথরিটি পাওয়া শুরু করবে ।
04: প্রোডাক্টের রিভিউ + (pros & Cons)
প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার সময় প্রোডাক্ট এর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি ইন্ট্রোডাকশন দিবেন । তারপর যে প্রোডাক্টটি নিয়ে লিখছেন সেই প্রোডাক্ট এর pros & Cons গুলো বর্ণনা করুন । একটি চমৎকার সামারি বা কনক্লুশান প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিখুন । এভাবে যদি প্রোডাক্ট রিভিউ লিখতে পারেন আপনার আর্টিকেলটি অনেক স্ট্যান্ডার হবে এবং খুব সহজেই গুগলের রাংক করতে পারবে ।
05: সামারি & ভার্ডিক্ট (Summary or verdict)
এ পর্যায়ে সামারি হচ্ছে আপনার সম্পূর্ণ আর্টিকেলের পরিসমাপ্তি আপনি যত সুন্দর করে সামারি লিখা যাই লিখতে পারেন এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 150 ওয়ার্ড পূর্যন্ত লিখতে পারেন । তবে সামারি সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক হওয়া বাঞ্ছনীয় খুব বেশি লিখলে ভাল দেখায় না এক্ষেত্রে সংক্ষিপ্তসার জন্যই সবাই পরামর্শ দেয় । Summary or verdict প্রডাক্ট কখনো কেনার জন্য বলবেন না বা পরামর্শ দিবেন না কিন্তু প্রোডাক্টের গুরুত্বটা ওর্ডিয়েন্স বুজিয়ে বলুন ।
উপরোক্ত পয়েন্ট ছাড়াও আপনি আরো কিছু বিষয় আপনার আর্টিকেল কে স্ট্যান্ডার করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন যেমনঃ অডিও, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক, পিন্টারেস্ট পিন ইত্যাদি ।
কোন আর্টিকেল এ অডিও খুব একটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ না হলেও ভিডিওর কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এ ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব এর ভিডিও ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই প্রোডাক্ট এর সঙ্গে যেন প্রাসঙ্গিক থাকে । আর যদি আমাজনের ইমেজ ছাড়া আপনি অন্য কোন সোর্স থেকে ইমেজ ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রি সাইট গুলো থেকে ইমেজ ব্যবহার করুন যেমন : (pexels.com,pixabay.com,stocksnap.io, unsplash.com) ইত্যাদি ।
মানি আর্টিকেল কত ওয়ার্ড হবে
খুব সহজ একটা উত্তর হচ্ছে আপনার কম্পিউটার এর উপর ডিপেন্ড করে আপনাকে মানি আর্টিকেল লিখতে হবে । অর্থাৎ আপনার কম্পিটিটর যদি 3000 ওয়ার্ড এর মানি আর্টিকেল লিখে আপনাকে অবশ্যই তার থেকে বেশি যুক্ত মানি আর্টিকেল লিখতে হবে । এক্ষেত্রে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলছি কখনোই কম্পিটিটর থেকে কম ওয়ার্ডের আর্টিকেল লেখা উচিত নয় । সব সময় চেষ্টা করা উচিত তার থেকে বেশি ইনফর্মেশন বেশি তথ্য বেশি আকর্ষণীয় আর্টিকেল লেখা ।
তবে সর্বোচ্চ 5000 হাজার word পর্যন্ত মানি আর্টিকেল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখা যায় | আর Info article এর ক্ষেত্রে 1000 থেকে 1500 ওয়ার্ড ই যথেষ্ট |
আর্টিকেল বা কনটেন্ট তৈরির পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
01: আপনি যদি কোনো কনটেন্ট লিখেন সে ক্ষেত্রে আগে সেই বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিন |
02: রাইটার কি দিয়ে যদি কোন আর্টিকেল লিখেন সে ক্ষেত্রে পুরো আর্টিকেল এর ফরমেট স্টাকচার রাইটার কে প্রদান করুন |
03: আর্টিকেল লেখার সময় সবসময় ইউজারের কথা চিন্তা করুন কোন ভ্যালু আর্টিকেল থেকে পাচ্ছে কিনা |
04: কোন আর্টিকেল পাবলিস্ট করার পূর্বে আপনি নিজে আর্টিকেলটি ভালভাবে পড়ে নিন |
05: আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড বা ফোকাস কী-ওয়ার্ডটি আর্টিকেলে ঠিকভাবে এসেছে কিনা সেটা লক্ষ্য করুন এক্ষেত্রে জোর করে কোন কী-ওয়ার্ড প্লেস করার প্রয়োজন নেই ।
06: যে কোন আর্টিকেল পাবলিশ করার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে আর্টিকেলটি ইউনিক কিনা সেটা চেক করে নিন এক্ষেত্রে কপি এস্কেপ অথবা গ্রামারলি এই টুলটি ব্যবহার করতে পারেন ।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটের জন্য মানি আর্টিকেল লিখবেন । এটা গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর জন্য । আমি চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে পরিপূর্ণ একটি গাইডলাইন দেওয়ার জন্য । বাংলা লেখা যদি ভুল থাকে সে ক্ষেত্রে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । নতুনদের জন্য উপকারী হবে তাহলে অবশ্যই আপনার ফেসবুকের টাইমলাইনে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ সবাইকে ।