Amazon affiliate articles
Amazon affiliate articles

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন

আজকের বিষয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন : ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলেশন এবং থিম সেটাপের পর সর্বপ্রথম যেটা করতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ পেজসমূহ তৈরি করা । একটি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট এর গুরুত্বপূর্ণ পেজ সমূহ তৈরীর পর সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হচ্ছে কন্টেনিং প্ল্যানিং বা আর্টিকেল । এখন আপনি বলতে পারেন কন্টেন্ট মানে কি শুধু আর্টিকেল না কন্টেন্ট মানে আর্টিকেল নয় আপনার ওয়েবসাইটে যতপ্রকার আর্টিকেল, টেক্সট, অডিও, ভিডিও, ইমেজ ,ইনফোগ্রাফিক, স্লাইডার, টেবিল ইত্যাদি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ।

এখন আপনার সাইটের আর্টিকেল কয় ধরনের থাকবে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় | কোন ওয়েবসাইটের আর্টিকেল কে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায় ।

অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে আর্টিকেল এর প্রকার

01: মানি আর্টিকেল
02: রিভিউ আর্টিকেল
03: ইনফরমেটিভ আর্টিকেল

অ্যাফিলিয়েট সাইটগুলোতে মানি আর্টিকেল এবং রিভিউ আর্টিকেল একসাথেই লেখা হয় এতে করে অডিয়েন্সের এঙ্গেজমেন্ট ভালো থাকে । অর্থাৎ আপনি যেই আর্টিকেল তাকে আপনার মানি আর্টিকেল বা বায়িং আর্টিকেল বলছেন সেখানে আপনার প্রোডাক্টের রিভিউ থাকবে ।

ইনফোরমেটিভ আর্টিকেল মানে হচ্ছে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে যত প্রকার প্রশ্নবোধক কি ওয়ার্ড রয়েছে সেগুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখা । এক্ষেত্রে অনেকেই কনফিউশনে পড়ে মানি আর্টিকেল এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেল অনুপাত কেমন হবে । আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে কি ইনফো আর্টিকেল যত পারেন সার্চ ভ্যালু ঠিক রেখে সাইটে পাবলিস্ট করুন । তবে অভিজ্ঞরা বলে থাকে আপনি যদি কোন সাইটে ৩ টি মানি আর্টিকেল পাবলিস্ট করেন তাহলে ৯ টি ইনফো আর্টিকেল পাবলিস্ট করুন ।

How to Write Amazon Affiliate Money Article:

বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মানি আর্টিকেলের ফরমেটিং বা স্ট্রাকচার উপর নির্ভর করে আপনার আর্টিকেলটি Rank করবে কিনা । আপনি একটি মানি আর্টিকেল কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিতে পারে যদি আপনি নিজে লিখেন আর যখন কোন রাইটার কে নিয়ে লেখাবেন তখন তাকে এ ফরম্যাট টা বুঝিয়ে দিবেন ।

01: আকর্ষণীয় কল টু অ্যাকশন সহকারে শুরু করা
02: একটি চমৎকার তথ্যবহুল টেবিল
03: প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত বায়িং গাইড
04: অন্তত 8 থেকে 10 টা প্রোডাক্টের রিভিউ + (pros &Cons)
05: সামারি & ভার্ডিক্ট (Summary or verdict)

01: আকর্ষণীয় কল টু অ্যাকশন

আপনার আর্টিকেল এর শুরুতেই 200 থেকে 250 ওয়ার্ডের একটি ভূমিকা দিন যেন আপনারই পাঠক পড়েই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার উৎসাহ জেগে ওঠে । সাধারণত ভূমিকা পরেই একজন ইউজার সিদ্ধান্ত নেয় পুরো আর্টিকেলটি সে পড়বে কিনা অথবা এই ওয়েবসাইটে থাকবে কিনা । অর্থাৎ ভূমিকার উপর নির্ভর করে আপনার সাইটের বাউন্স রেট । যদিও অভিজ্ঞদের মতামত হচ্ছে নিস সাইটের বাউন্স রেট তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় কিন্তু তারপরও এটা কম রাখাটা ভালো ।

02: চমৎকার তথ্যবহুল টেবিল

আপনি প্রোডাক্ট রিভিউ আগে অথবা পরে টেবিল দিতে পারেন কোন সমস্যা নেই । এটা ডিপেন্ড করছে আপনার কনটেন্ট ফরমেটিং উপরে । তবে আপনার উপর নির্ভর করে আপনি যে কোন জায়গায় এই টেবিল টা দিতে পারেন । মনে রাখবেন আপনার টেবিলটি যেন অবশ্যই খুবই তথ্যবহুল থাকে । টেবিল দেখেই যেন কোন ইউজার সেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়ে যায় অনেক সময় এই টেবিল থেকেও কোন ইউজার প্রোডাক্ট ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়

সুতরাং টেবিল ওইভাবে তৈরি করুন যাতে কনভার্শন রেট বৃদ্ধি পায় । প্রোডাক্ট টেবিল নিজে লেখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ এতে খুব ভালো মানের টেবিল তৈরি করা যাই ।

03: বায়িং গাইড (Buying Guide)

Buying Guide একটি জরুরী বিষয় তাই এটি রিসার্চ করে লেখা ভালো । তবে সবচাইতে ভালো হয় Buying Guide রাইটারের উপর ছেড়ে না দিয়ে আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন । অথবা রাইটারের কে দিয়ে লেখালে আপনি পরবর্তীতে সেটি রি-রাইট করে নেন ।

Pro Tips : এক্ষেত্রে আপনার কম্পিটিটর বায়িং গাইড এ কি ইনফরমেশন দিয়েছে সেটা লক্ষ্য করতে পারেন ।

বায়িং গাইড যত বেশি তথ্য বহুল থাকবে গুগোল আপনার সাইটকে ততবেশি অথরিটি দিবে । একবার যদি আপনার ওয়েবসাইট গুগলের কাছে অথরিটি পাওয়ার শুরু করে তাহলে আপনার আর কোন চিন্তা নেই । এক্ষেত্রে আপনি আপনার লাইটের কে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখতে পারেন সে কিভাবে এই অংশটি লিখবে কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আপনি আপনার কম্পিটিটরদের দেখে বায়িং গাইড তৈরি করার চেষ্টা করুন । এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট অনেক বেশি অথরিটি পাওয়া শুরু করবে ।

04: প্রোডাক্টের রিভিউ + (pros & Cons)

প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার সময় প্রোডাক্ট এর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি ইন্ট্রোডাকশন দিবেন । তারপর যে প্রোডাক্টটি নিয়ে লিখছেন সেই প্রোডাক্ট এর pros & Cons গুলো বর্ণনা করুন । একটি চমৎকার সামারি বা কনক্লুশান প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিখুন । এভাবে যদি প্রোডাক্ট রিভিউ লিখতে পারেন আপনার আর্টিকেলটি অনেক স্ট্যান্ডার হবে এবং খুব সহজেই গুগলের রাংক করতে পারবে ।

05: সামারি & ভার্ডিক্ট (Summary or verdict)

এ পর্যায়ে সামারি হচ্ছে আপনার সম্পূর্ণ আর্টিকেলের পরিসমাপ্তি আপনি যত সুন্দর করে সামারি লিখা যাই লিখতে পারেন এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 150 ওয়ার্ড পূর্যন্ত লিখতে পারেন । তবে সামারি সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক হওয়া বাঞ্ছনীয় খুব বেশি লিখলে ভাল দেখায় না এক্ষেত্রে সংক্ষিপ্তসার জন্যই সবাই পরামর্শ দেয় । Summary or verdict প্রডাক্ট কখনো কেনার জন্য বলবেন না বা পরামর্শ দিবেন না কিন্তু প্রোডাক্টের গুরুত্বটা ওর্ডিয়েন্স বুজিয়ে বলুন ।

উপরোক্ত পয়েন্ট ছাড়াও আপনি আরো কিছু বিষয় আপনার আর্টিকেল কে স্ট্যান্ডার করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন যেমনঃ অডিও, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক, পিন্টারেস্ট পিন ইত্যাদি ।

কোন আর্টিকেল এ অডিও খুব একটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ না হলেও ভিডিওর কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এ ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব এর ভিডিও ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই প্রোডাক্ট এর সঙ্গে যেন প্রাসঙ্গিক থাকে । আর যদি আমাজনের ইমেজ ছাড়া আপনি অন্য কোন সোর্স থেকে ইমেজ ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রি সাইট গুলো থেকে ইমেজ ব্যবহার করুন যেমন : (pexels.com,pixabay.com,stocksnap.io, unsplash.com) ইত্যাদি ।

মানি আর্টিকেল কত ওয়ার্ড হবে

খুব সহজ একটা উত্তর হচ্ছে আপনার কম্পিউটার এর উপর ডিপেন্ড করে আপনাকে মানি আর্টিকেল লিখতে হবে । অর্থাৎ আপনার কম্পিটিটর যদি 3000 ওয়ার্ড এর মানি আর্টিকেল লিখে আপনাকে অবশ্যই তার থেকে বেশি যুক্ত মানি আর্টিকেল লিখতে হবে । এক্ষেত্রে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলছি কখনোই কম্পিটিটর থেকে কম ওয়ার্ডের আর্টিকেল লেখা উচিত নয় । সব সময় চেষ্টা করা উচিত তার থেকে বেশি ইনফর্মেশন বেশি তথ্য বেশি আকর্ষণীয় আর্টিকেল লেখা ।

তবে সর্বোচ্চ 5000 হাজার word পর্যন্ত মানি আর্টিকেল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখা যায় | আর Info article এর ক্ষেত্রে 1000 থেকে 1500 ওয়ার্ড ই যথেষ্ট |

আর্টিকেল বা কনটেন্ট তৈরির পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

01: আপনি যদি কোনো কনটেন্ট লিখেন সে ক্ষেত্রে আগে সেই বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিন |

02: রাইটার কি দিয়ে যদি কোন আর্টিকেল লিখেন সে ক্ষেত্রে পুরো আর্টিকেল এর ফরমেট স্টাকচার রাইটার কে প্রদান করুন |

03: আর্টিকেল লেখার সময় সবসময় ইউজারের কথা চিন্তা করুন কোন ভ্যালু আর্টিকেল থেকে পাচ্ছে কিনা |

04: কোন আর্টিকেল পাবলিস্ট করার পূর্বে আপনি নিজে আর্টিকেলটি ভালভাবে পড়ে নিন |

05: আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড বা ফোকাস কী-ওয়ার্ডটি আর্টিকেলে ঠিকভাবে এসেছে কিনা সেটা লক্ষ্য করুন এক্ষেত্রে জোর করে কোন কী-ওয়ার্ড প্লেস করার প্রয়োজন নেই ।

06: যে কোন আর্টিকেল পাবলিশ করার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে আর্টিকেলটি ইউনিক কিনা সেটা চেক করে নিন এক্ষেত্রে কপি এস্কেপ অথবা গ্রামারলি এই টুলটি ব্যবহার করতে পারেন ।

আশা করছি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটের জন্য মানি আর্টিকেল লিখবেন । এটা গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর জন্য । আমি চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে পরিপূর্ণ একটি গাইডলাইন দেওয়ার জন্য । বাংলা লেখা যদি ভুল থাকে সে ক্ষেত্রে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । নতুনদের জন্য উপকারী হবে তাহলে অবশ্যই আপনার ফেসবুকের টাইমলাইনে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ সবাইকে ।

Leave a Reply