google panda algorithm
google panda algorithm

গুগল পান্ডা থেকে ওয়েবসাইট বাঁচান

গুগোল ইউজারদের সবচাইতে ভালো তথ্য সরবরাহ করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আপডেটের মাধ্যমে এবং অ্যালগরিদম এর উপর ভিত্তি করে উন্নত করে যাচ্ছে । Google’s Panda algorithm আপডেট এই ধরনের একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে ওয়েবে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট কে মধ্যে বাছাইকৃত ওয়েবসাইটগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ (SERP) গুগল স্থান দেয় |

গুগল পান্ডা First released হয় ফেব্রুয়ারি 23 তারিখ 2011 সালে । এটি প্রথমদিকে গুগলের একটি ফিল্টার হিসেবে ব্যবহার করা হতো যার নাম ছিল “Farmer.” । পরবর্তীতে 2016 সাল থেকে এটি গুগলের core algorithm হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এই অ্যালগরিদম আসার পর থেকে ওয়েবের 12% ওয়েবসাইটকে প্রথম বছরেই হিট করে | Google Panda সার্চ রেজাল্টে real-time অ্যাপ্লিকেবিল নয় । আমরা জানি শুধুমাত্র RankBrain (AI) algorithm real-time applicable ।

গুগোল পান্ডার কাজ কি ?

Google’s Panda হাই কোয়ালিটি Content যুক্ত সাইটগুলোকে রাংকিং প্রদান করে আর লো কোয়ালিটি কনটেন্ট ওয়েবসাইট কে সার্চ রেজাল্ট বা (SERP) থেকে সরিয়ে নেয় | সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পান্ডা আপডেটের পর পরই লো কোয়ালিটি কনটেন্ট যুক্ত ওয়েবসাইটগুলো রেংকিং হারাবে এবং অর্গানিক ট্রাফিক থাকবে না ।

গুগল পান্ডা থেকে কিভাবে ওয়েবসাইট রক্ষা করবেন ?

যেহেতু Google Panda কনটেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত তাই আপনাকে কনটেন্ট অপটিমাইজ করতে হবে । যে কোন ওয়েব সাইটের কনটেন্ট অনেক কিছু হতে পারে আর্টিকেল, ইমেজ, ভিডিও, অডিও ,ওয়েবসাইট ডিজাইন , নেভিগেশন ,ক্যাটাগরি ,পেইজ অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ইত্যাদি | সুতরাং আপনার ওয়েবসাইটের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে আপনার বিশেষ নজর রাখতে হবে ।

01: Poor user experience

কোন ওয়েবসাইটের রেঙ্কিং জন্য ইউজার এক্সপেরিয়েন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে । ওয়েবসাইটে আপনি অনেক ধরনের কনটেন্ট ক্যাটাগরি পেইজ পাবলিশ করতে পারেন । একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন ইউজার আসামাত্রই আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি বিষয়ে স্বচ্ছভাবে দেখতে পারে এবং একটি ক্যাটাগরি থেকে বা একটি পেজ থেকে অন্য পেজে সহজেই যেতে পারে । ওয়েবসাইট তৈরির সময় সাইটের ডিজাইন এবং মেদিকেশন এ দুইটা খুবই গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে ।

02: Duplicate content

ডুবলিকেট কনটেন্ট বিভিন্নভাবে হতে পারে অন্যের ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কপি করলে যেমন হয় তেমনি আপনি নিজেও কনটেন্ট ডুবলিকেট করে ফেলতে পারেন । আপনার ওয়েবসাইটের সমজাতীয় টাইটেলে অনেকগুলো পেইজ হয়েছে এক্ষেত্রে অনেক কনটেন্ট একই পেজে বারবার চলে আসতে পারে URL এর ভ্যারিয়েশন না থাকার কারণে গুগল পান্ডা এটাকে ডুবলিকেট করে নেবে চিহ্নিত করে । এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্থা হচ্ছে URL conicalization ।

03: Plagiarism Content

নতুন অবস্থায় অনেকেই না বুঝে অন্যের ওয়েব সাইটের কনটেন্ট কপি করে । কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান এক ব্লগার আমারটা ওয়েবসাইটের আর্টিকেল হুবহু কপি করে নিজ ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে । তার কিছুদিন পরেই আর্টিকেলটি রেঙ্কিং এর চলে আসে এবং আরো কিছুদিন পর গুগলের আপডেট আসলে তার ওয়েবসাইটটি রেঙ্কিং হারায় ।

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে আর্টিকেল স্পিনার বা আর্টিকেল রি রাইটার দিয়ে আপনি কোন কনটেন্ট হুবহু আরেকটি ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করলে গুগোল ঠিকই বুঝতে পারে প্রথম কোন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিস্ট হয়েছিল । ডুবলিকেট কন্টেন ব্যবহার করা বা প্লাগারিজম কন্টেন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন ।

04: Low-quality content

লো কোয়ালিটি কন্ট্রোল বলতে সাধারণত আমরা বুঝে থাকি যে কনটেন্টের কোন রিসোর্স নাই । অর্থাৎ আপনি এমন আর্টিকেল পাবলিস্ট করেছেন যে আর্টিকেলে কোন মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করেননি যেমন ইমেজ, ভিডিও ,অডিও ,ইনফোগ্রাফিক পিডিএফ, ইত্যাদি । শুধু তাই নয় অল্পসংখ্যক টেক্সট যুক্ত কনটেন্ট কেউ লো কোয়ালিটি কন্ট্রোল হিসেবে বিবেচনা করা হয় । করুন বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে জ্ঞানভিত্তিক আর্টিকেল লেখার জন্য যাতে করে ইউজার কোন আপনার ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে থাকে ।

05: Keyword Stuffing

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে Keyword stuffing এমন এক ধরনের টেকনিক যায় একসময় SEO কাজ করতো | কোন নির্দিষ্ট একটি ওয়েব পেজে একটি কী ওয়ার্ড দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেওয়া কে Keyword stuffing বলে । বর্তমানে এই টেকনিকটা কে এক ধরনের স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত করা হয় । Google Panda এমন ধরনের Keyword stuffing আপনার ওয়েবসাইটে লক্ষ্য করলে আপনি পেনাল্টি খাবেন নিশ্চিত । সুতরাং এই ধরনের webspam or spamdexing কাজ করা থেকে বিরত থাকুন ।

06: High ad-to-content ratio

কোন নির্দিষ্ট আর্টিকেল বা পেইজ এ টেক্সট অথবা ওয়ার্ড এর তুলনায় আপনি যদি বেশি পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার ads ব্যবহার করেন তাহলে গুগল পান্ডা আপনার ওয়েবসাইটকে পেনাল্টি দিবে । প্রয়োজনের অতিরিক্ত ads ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন । আমি রেকমেন্ট করব একটি পেজে পাঁচটির বেশি যেন এড না থাকে ।

07: High Affiliate links

আপনি 1000 ওয়ার্ড একটি আর্টিকেল লিখলেন সেখানে যদি ২০টি এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করেন তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ায় । কোন ইউজার প্রতিটি লাইন পড়বে আর আপনার একটি এফিলিয়েট লিংক তার চোখে পড়বে যা ইউজারদের জন্য সম্পূর্ণ দৃষ্টিকটু এবং সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইনের বাহিরে । তাই আপনার আর্টিকেল এ যেন খুব বেশি এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার না হয় সে বিষয়ে প্রতি যত্নবান হোন ।

08: Content mismatching

কন্টেন মিস্মাচিং বলতে বোঝায় কোন ইউজার একটি তথ্য জানার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের কোন পেইজে এসে যদি অন্য কোন তথ্য পায় সেটা কে কন্টেন মিস্মাচিং বলে । রা যাক আপনি গুগলের সার্চ করলেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং এই টাইটেল যুক্ত কোন আর্টিকেলে ক্লিক করার পর আপনার সামনে যে ওয়েবসাইটটা ওপেন হল সেখানে দেখতে পেলেন গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কিত তথ্য এটা এক ধরনের Content mismatching । কোনভাবেই কোন ইউজারকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না ।

গুগল পান্ডা আপনার ওয়েব এর কন্টেন্ট এর উপর ফোকাস করে আপনার সাইটকে ক্রলিং করে থাকে । On Page Seo Checklist ফলো করুন এবং সেই অনুযায়ী আপনার কনটেন্টকে অপটিমাইজ করুন । একটি কথা আছে “content is king” সুতরাং সব সময় চেষ্টা করতে হবে ভালো মানের তথ্যবহুল আর্টিকেল ওয়ে পাবলিস্ট করা । এতে করে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স যেমন বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে গুগলের এই আপডেট বা অ্যালগরিদম গুলো থেকে আপনার ওয়েবসাইট সেফ থাকবে ।

Leave a Reply