How to Write SEO Friendly Article
How to Write SEO Friendly Article

কিভাবে কিলার SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন

অধিকাংশ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার তাদের প্রথম ওয়েব সাইটের সফল হতে পারেনা কনটেন্টের স্ট্রাকচার ফলো না করার কারণে । আমি ব্যক্তিগতভাবে চার থেকে পাঁচটি ওয়েবসাইটের কাজ করার কারণে এসইও বিষয়ে কিছু বিষয় আপনাদেরকে তুলে ধরব । অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলেন অথবা ব্লগিং বলেন ওয়েবে কোন কিছু লেখার নিয়ম-কানুন রয়েছে । কোন প্রকার রিসার্চ ছাড়া কোন বিষয় নিয়ে লিখে ফেলা টা একেবারেই বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় । ব্লগিং অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই আপনাকে তাদের সিক্রেট গোপনীয়তার শেয়ার করবেন না । কিন্তু একটা বিষয় জেনে রাখবেন SEO ইন্ডাস্ট্রির সবচাইতে সিক্রেট যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে কনটেন্ট | তাই একটি কথা খুব সহজেই হরহামেশা আমরা শুনতে পাই তা হল “content is the king” |

আজকের এই নিবন্ধে আমি আপনাদেরকে এসইও ফ্রেন্ডলি কিলার কনটেন্ট কিভাবে লিখতে পারবেন সে বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেব ।

অধিকাংশ সময় আমরা দেখতে পাই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর জন্য আর্টিকেল বা কনটেন্ট বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রিমিয়াম রাইটার দিয়ে আমরা লিখে থাকি । আজকের এই দিক নির্দেশনা গুলো আপনি নিজে যদি আপনার এফিলিয়েট সাইট এর জন্য লিখেন সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।

How to Write SEO Friendly Article :

01: আউটলাইন বা স্ট্রাকচার

কোন বিষয় নিয়ে আপনি লেখার পূর্বে আগে সেই কন্টেন্টের স্ট্রাকচার বা আউটলাইন ঠিক করে নিন । এক্ষেত্রে আপনার জন্য সে বিষয়ে লেখা অনেক সহজ হয়ে যাবে । লেখার মধ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ না পড়ার আশঙ্কা থাকবে না । সুতরাং স্ট্রাকচার আউটলাইন ঠিক করে নেওয়াটা খুবই জরুরী । সুতরাং কোনো বিষয় সম্পর্কে লেখার সময় সে বিষয়ে আপনি কি কি তথ্য আপনার আর্টিকেল লিখতে চান এবং গুরুত্বপূর্ণ চার্ট, টেবিল ,প্রোডাক্ট বিশ্লেষণ, রেফারেন্স, ভিডিও, ইমেজ, ইনফোগ্রাফিক, ইত্যাদি আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখুন ।

02: কিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন

কিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন মানে এককথায় আপনার আর্টিকেলে আপনি কতবার আপনার মেইন কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন এবং লং-টেইল কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন সেটার একটি পূর্ব স্ট্রাকচার । আর্টিকেল লেখার পূর্বে যদি আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড ,মেইন কিওয়ার্ড প্লেসমেন্টের বিষয়টি মাথায় না রাখেন তাহলে কিন্তু আপনার কনটেন্ট মোটেই শক্তিশালী বা ইনফরমেটিভ হবে না । এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখবেন জোরপূর্বক বা ফোর্সলি কোন কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট করা যাবেনা । কিবোর্ড ডিসট্রিবিউশন এ বিষয়টা যদি খেয়াল রেখে আর্টিকেল লেখা শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনার আর্টিকেল অনেক স্ট্যান্ডের হবে পাশাপাশি কীওয়ার্ড ডেন্সিটি ঠিকভাবে বজায় রাখতে পারবেন । এসইও প্লাগিন এর মাধ্যমে আপনি কীবোর্ড ডেন্সিটি মেজারমেন্ট করতে পারবেন ।

03: টাইটেলে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা

সব সময় চেষ্টা করতে হবে আপনার ফোকাস কী-ওয়ার্ডটি যেন আপনার টাইটেলের শুরুতেই থাকে । এটি অন পেজ এসইও ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । সেই ফোকাস কীওয়ার্ড ওয়ার্ড আপনার মেইন কি ওয়ার্ড হতে পারে আবার লংটেল কোন কিওয়ার্ড হতে পারে । তবে খেয়াল রাখতে হবে টাইটেলে যেন অবশ্যই আপনার মেইন কী-ওয়ার্ডটি যেন থাকে যে কী-ওয়ার্ডটি নিয়ে আপনি আর্টিকেলটি লিখছেন ।

04: পার্মালিনক এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করা

এসইওর জন্য বেস্ট প্রাক্টিস হল টাইটেল এবং পার্মালিনক একই রাখা । অর্থাৎ আপনি টাইটেল যেটি ব্যবহার করছেন ইউ আর এল একই কীওয়ার্ড ব্যবহার করা । এক্ষেত্রে আপনার কনটেন্ট অনেক বেশি শক্তিশালী এবং গুগলের চোখে এসইও ফ্রেন্ডলি হবে । আপনি টাইটেল এবং পার্মালিনক কে একই কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার মেইন কিওয়ার্ডটির জন্য আপনার আর্টিকেলটি অনেক অপটিমাইজ হবে । সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজে আপনার ওয়েবসাইটটি সবার থেকে এগিয়ে থাকবে ।

05: প্রথম প্যারাগ্রাফ কিওয়ার্ড রাখা

প্রথম প্যারাগ্রাফ বলতে আপনার আর্টিকেল এর প্রথম 100 বা 200 ওয়ার্ড এর অংশকে বুঝায় । আপনাকে খুব সাবলীলভাবে আপনার টাইটেল এবং পার্মালিনক যে কিওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন সেই কিওয়ার্ড যুক্ত একটি সেন্টেন্স আপনার প্রথম প্যারাগ্রাফ রাখতে হবে । এক্ষেত্রে আমি আবার বলছি কখনোই ফোর্সলি কোন কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট করা উচিত নয় । ন্যাচারাল কোনো কীওয়ার্ড না আসে সে ক্ষেত্রে ব্যবহার না করাটাই উত্তম । তবে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে ন্যাচারাল ভাবে কি ওয়ার্ড প্লেসমেন্ট করার ।

06: হেডলাইন কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট

ফোকাস কীওয়ার্ড যেন আপনার আর্টিকেল এর হেড লাইনে থাকে । এটা একটা এক্সট্রা ভ্যালু অ্যাড করবে আপনার আর্টিকেলটি গুগল টপ পজিশন আস্তে । সঠিকভাবে কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট আপনারা টপ পজিশনে যাওয়ার জন্য কোন প্রকার অফ পেজ এসইও প্রয়োজন খুব কম হবে ।

07: কন্টেন্ট কি ওয়ার্ড বোল্ড করে দেওয়া

সাধারণত মানি আর্টিকেলগুলো 3 থেকে 5 হাজার ওয়ার্ড বিশিষ্ট হয় । এত বড় আর্টিকেলে আপনার কীওয়ার্ড যতবার আসছে আপনি সেটি বোল্ড করে দিতে পারেন । এক্ষেত্রে ইউজার আপনার কনটেন্টের প্রতি আকর্ষিত হয় । গুগল বুঝতে পারে আপনার কনটেন্ট কি বিষয় । তবে খুব বেশি মাত্রায় কী-ওয়ার্ড বোল্ড করার প্রয়োজন নেই 1 থেকে 2 বার যথেষ্ট ।

08: কন্টেন্টে কী-ওয়ার্ড ইটালিক করে দেওয়া

আপনার মানি আর্টিকেল এর মধ্যে আপনার কীওয়ার্ড যতবারই আসুক না কেন । আপনি শুধুমাত্র একবার সেই কীবোর্ড টিকে ইটালিক করে দিবেন । এটা আপনার কীওয়ার্ড কে এক্সট্রা ভ্যালু দিবে । আপনার সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি চার থেকে পাঁচ হাজার ওয়ার্ড বিশিষ্ট হতে পারে । আপনার মূল কী-ওয়ার্ডটি অনেকবার ব্যবহৃত হতে পারে । সেই ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন অন্তত একবার যেন পুরো কী-ওয়ার্ডটি ইটালিক করে দেওয়া হয় ।

09: ইমেজ অল্টার ট্যাগ এ কীওয়ার্ড ব্যবহার

আমরা জানি ছবি কথা বলে তাই ইমেজ অপটিমাইজেশন খুবই জরুরী আর্টিকেল rank করানোর জন্য । যদিও ইনফরমেটিভ কীওয়ার্ড ইমেজের ব্যবহার অনেক বেশি দেখা যায় । কিন্তু মানি কি ওয়ার্ডে ইমেজ এর ব্যবহার খুব কম পরিলক্ষিত হয় । যদি সম্ভব হয় ফিচার ইমেজ এ হলেও আপনার মূল কী-ওয়ার্ডটি ইমেজ অল্টার ট্যাগ ব্যবহার করুন বা ইমেজ রিনেম করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন ।

10: সামারি বা ফাইনাল ভার্ডিক্ট

কনক্লিউশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো আর্টিকেলের জন্য । আপনি যদি কনক্লিউশন না রাখেন তাহলে ইউজার বুঝতেই পারে না সবশেষে আপনি তাকে কি বুঝাতে চাচ্ছেন । কনটেন্টের শেষে বা ফাইনাল ফাইনাল ভার্ডিক্ট কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট খুবই জরুরী । তাই চেষ্টা করতে হবে আর্টিকেলের শেষে অবশ্যই আপনার মূল কী ওয়ার্ড টি ব্যাবহার করা । গুগোল বুঝতে পারবে অল ওভার আর্টিকেলে আপনার কোন কীওয়ার্ড ব্যবহৃত করছেন ।

11: পিলার আর্টিকেল পেজ পাবলিস্ট করুন

ওয়ার্ডপ্রেসে পোস্ট এবং পেইজ দুইটি দেখতে পাওয়া যায় । আমরা পোস্ট আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারি অন্যদিকে পেইজেও আর্টিকেল পাবলিস্ট করতে পারি । পোস্ট থেকে গুগলের কাছে পেইজের অথরিটি এবং গুরুত্ব অনেক বেশি । আপনার অবশ্যই একটি মেইন কিওয়ার্ড রয়েছে চেষ্টা করবেন সেই কিওয়ার্ড নিয়ে মিনিমাম তিন থেকে চার হাজার ওয়ার্ড বিশিষ্ট একটি পরিপূর্ণ আর্টিকেল পাবলিশ করা । এই ধরনের আর্টিকেল পাবলিস্ট হয় আপনার পেজের মধ্যে এবং সেই পেইজে থেকে বিভিন্ন ইন্টারনাল লিংক এর মাধ্যমে আপনার মানি আর্টিকেল গুলো রেফারেন্স পাবেন । যাকে বলা হয় পিলার আর্টিকেল |

12: Grammarly টুলস ব্যবহার

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার জন্য গ্রামারলি মিস্টেক কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় । তাই আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই গ্রামারলি ব্যবহার করা উচিত । এতে করে আপনার লেখার সময় ছোটখাটো এবং বড় ধরনের রাইটিং মিষ্টিগুলো সহজেই সংশোধন হয়ে যাবে ।

13: বড় প্যারাগ্রাফ না লেখা

মানি আর্টিকেল অথবা ইনফো যে ধরনের আর্টিকেল লেখার না কেন যদি প্যারাগ্রাফ গুলো খুব বড় এবং লেন্দি হয় সে ক্ষেত্রে রিডাবিলিটি অনেক কমে যায় । ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়না আর এই ধরনের আর্টিকেলগুলো কখনোই টপ পেজ নিয়ে আসেনা । User বিরক্ত বোধ করে এই ধরনের আর্টিকেল পড়তে সুতরাং এক্ষেত্রে ছোট প্যারাগ্রাফ দিয়া আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করুন ।

14: হাই রেজুলেশনের ইমেজ ব্যবহার

আর্টিকেল এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে গিয়ে অযথা হাই রেজুলেশনের ইমেজ ব্যবহার করা যাবে না । কারণ আপনার পেইজের যদি লোডিং স্পীড বেশি থাকে তাহলে গুগোল আপনার পেইজ কে কখনোই টপ পজিশনে নিয়ে আসবে না । আপনার আর্টিকেলটিতে SEO ফ্রেন্ডলি করতে লো রেজুলেশনের ইমেজ ব্যবহার করতে হবে । ইমেজ রিসাইজ করে ব্যবহার করতে হবে এক্ষেত্রে ক্যানভা টুলস টি অনেক উপকারী ।

15: ইন্টারনাল লিংক

অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে ইন্টারনাল লিংকিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আপনি অবশ্যই আপনার অভ্যন্তরীণ বা পূর্বের আর্টিকেল এর সাথে বর্তমান আর্টিকেলের ইন্টার্নাল লিনকিং করে দিবেন । ইন্টার্নাল লিনকিং অবশ্যই নোফলো থাকবে । ফলে আপনার ওয়েবসাইট এসইও ফ্রেন্ডলি এবং অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে ।

How To Write SEO Friendly Article on WordPress :

উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে কোন আর্টিকেল লেখা হলে এবং আর্টিকেল এর স্ট্রাকচার তৈরি হলে সে ক্ষেত্রে সেই আর্টিকেলটি 90% সম্ভাবনা থাকবে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট টপ পজিশনে খুব দ্রুত চলে আসার । আশা করছি আজকের নিবন্ধনটি নতুন যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং বা ব্লোগ্গিং করবে তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে । আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না ।

Leave a Reply