Types of SEO
Types of SEO

SEO কত প্রকার ও কি কি..?

ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি ? সারা বিশ্বের জনপ্রিয় দশটি সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে । আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব SEO প্রকারভেদ সম্পর্কে অর্থাৎ কত প্রকার SEO প্র্যাকটিস সচরাচর করা হয়ে থাকে । সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে সে গুলোকে আমরা যদি প্রাকৃতিক ভাবে ভাগ করে নেই তাহলে 4 ভাগে ভাগ করা যায় |

01: White hat SEO (হোয়াইট হ্যাট SEO)
02: Black hat SEO (ব্লাক হাট SEO)
03: Grey hat SEO ( গ্রে হ্যাট SEO )
04: NEGATIVE SEO (নেগেটিভ SEO)

01: White hat SEO (হোয়াইট হ্যাট SEO)

গুগল সার্চ ইঞ্জিনের বিভিন্ন নিয়ম কানুন এবং অ্যালগরিদম মেনে যেই SEO করা হয় অর্থাৎ সঠিক পদ্ধতিতে Google সমস্ত গাইডলাইন অনুসরণ করে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজের রেঙ্কিং আসার জন্য যে প্রচেষ্টা করা হয় তাকে হোয়াইট হ্যাট SEO বলা যায় | অন্যভাবে বলা যায় হোয়াইট হ্যাট SEO হচ্ছে এমন একজনের SEO টেকনিক যেই পদ্ধতিতে গুগলের কোনো নিয়ম-কানুন ভঙ্গ না করে সার্চ ইঞ্জিনের রাংকিং আসার জন্য চেষ্টা করা হয় । একে এথিকাল এসইও বলা যায় | এই পদ্ধতিতে কোন কিওয়ার্ড কে রেংকিং এ নিয়ে আসার জন্য অনেক নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হয় । ন্যূনতম 6 থেকে 8 মাস অপেক্ষা করতে হয় কোন কিওয়ার্ড রেঙ্কিং এ আসার জন্য ।

হোয়াইট হ্যাট এসইও কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
01: অন পেজ (ON Page) SEO
02: অফ পেজ (OFF Page) SEO

02: Black hat SEO (ব্লাক হ্যাট SEO)

সাধারণভাবে একবারে সহজভাবে বলতে গেলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম কানুন সঠিক না মেনে গুগলের প্রথম পেজে রেংকিং এ আসার জন্য যেই SEO প্র্যাকটিস করা হয় তাকে ব্লাক হাট SEO বলে । দ্রুত সার্চ ইঞ্জিন পাওয়ার জন্য ব্ল্যাক হেড এসইও করা হয়ে থাকে । একে আনএথিকাল এসইও বলা যায়। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও যে ভাবে করা হয় তার মধ্যে আছে কীওয়ার্ড স্টাফিং, ক্লকিং, ডোরওয়ে পেজেস, অদৃশ্য টেক্সট, স্প্যামিং ব্যাকলিংক ইত্যাদি পদ্ধতি। যদিও ব্লাক হ্যাট SEO আপনি খুব দ্রুত গুগল রেঙ্কিং চলে আসতে পারবেন কিন্তু গুগোল আপডেট আসার পরপরই আপনার ওয়েবসাইট পেনাল্টি খাবে এবং আপনি রাঙ্কিং হারাবেন । এই পদ্ধতিতে দ্রুত রাংকিং আসা যায় কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এই রাঙ্কিং দখল করে রাখা যায় না । গুগল আপনাকে ব্ল্যাকলিস্টে ওয়েবসাইটের মধ্যে রেখে দিবে ।

03: Grey hat SEO ( গ্রে হ্যাট SEO )

গ্রে হ্যাট SEO হচ্ছে এমন এক ধরনের SEO প্র্যাকটিস যেখানে হোয়াইট হ্যাট SEO এবং ব্ল্যাকহেডস SEO এর সংমিশ্রণে রাংকিং আসার চেষ্টা করা হয় । এখানে ৮০% শতাংশ হোয়াইট হ্যাট SEO ফলো করা হয় পাশাপাশি 20% শতাংশ ব্ল্যাক হ্যাট এসইও ফলো করা হয় তাই গ্রে হ্যাট SEO ব্যবহার করা উচিত নয় । কারণ গুগল সার্চ ইঞ্জিন যদি বুঝতে পারে আপনার ওয়েবসাইটটি ব্ল্যাক হ্যাট এসইও প্র্যাকটিস করছে সে ক্ষেত্রে আপনার সাইট ব্ল্যাকলিস্টে চলে যাবে অথবা গুগল পেনাল্টি খাবে । ( Example : Clickbait articles, Spun content, Link exchanges, Paid reviews etc):

04: NEGATIVE SEO (নেগেটিভ SEO)

নতুন ওয়েবসাইট গুলো যখন গুগলে রেংকিং এ আসতে পারে না তখন সাধারণত নেগেটিভ এসইও প্র্যাকটিস করে এই ধরনের ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি লক্ষণীয় যেটা সেটা হচ্ছে অস্বাভাবিক লিংক বিল্ডিং । আপনার কম্পিটিটর আপনার রাঙ্কিং নষ্ট করার জন্য এইধরনের এসইও করে থাকবে | সাধারণত কম্পিটিটর রাংকিং ডাউন করার জন্য বিভিন্ন ফোরাম সাইট থেকে লিংক,হ্যাকিং সাইট থেকে লিংক, এবং স্পামিং সাইট থেকে লিংক বিল্ডিং করে দেওয়া হয় যাতে সাময়িক সময়ের জন্য কম্পিটিটর তার রাংকিং হারায় । EX: Building unnatural links, Posting negative reviews, Hacking,websites, etc.

READ MORE ARTICLE:

01: অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পলিসি গুলো কি
02: কিভাবে কিলার SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন
03: অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন
04: Best Amazon Affiliate WordPress Themes

এখন সবার মনে একটি প্রশ্ন আসছে আমরা কোন এসইও প্র্যাকটিস করবো ?
আমাদের ওয়েবসাইটে কোন seo এপ্লাই করব। ..? যেহেতু আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অথবা SEO সম্পূর্ণ নতুন তাই আপনি হোয়াইট হ্যাট SEO ব্যবহার করবেন । যখন SEO আপনি পরিপূর্ণভাবে দক্ষ হয়ে উঠবেন তখন আপনি গ্রে হ্যাট এসইও ব্যবহার করবেন এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন যে কিভাবে খুব সহজেই গুগোল কে ফাঁকি দিয়ে এসইও প্র্যাকটিস করা যায় ।

Leave a Reply